Tuesday, June 21, 2016

স্বয়ং নবী করিম (সা. ) যে দোয়া বেশি বেশি করতেন

http://bd-islamiclife.blogspot.com/উম্মত জননী হজরত জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন, একদিন আল্লাহর নবী (সা.) ফজরের সময় আমার ঘর থেকে বের হয়ে গেলেন। তখন আমি জায়নামাজে ছিলাম। তিনি চাশতের সময় আমার ঘরে ফিরে এলেন। তখনও আমি জায়নামাজে ছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘জুওয়াইরিয়া! আমি যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত এভাবেই ওজিফা আদায়ে মশগুল ছিলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি আমাকে বললেন, আমি তোমার পরে চারটি বাক্য তিনবার বলেছি। যদি এগুলোকে ওজন করা হয় তবে তোমার কৃত
সমস্ত ওজিফার চেয়ে এগুলোই বেশি ভারি হবে। আর তা হলো- .
.
ﺳُﺒْﺤَﺎ/ﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ﻋَﺪَﺩَ ﺧَﻠْﻘِﻪِ ﻭَﺭِﺿَﺎ ﻧَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﺯِﻧَﺔَ ﻋَﺮْﺷِﻪِ .ﻭَﻣِﺪَﺍﺩَ ﻛَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ
.
.
উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া- রিজা নাফসিহি ওয়া জিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি। -সহিহ মুসলিম শরিফ : ৭০৮৮ .
.
অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার প্রশংসাসমেত পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তিনি সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ করার কালি পরিমাণ।

সাহাবী গাছ [একটি ইসলামিক কাহিনী] পড়ুন জানুন


Sahabi Tree
http://bd-islamiclife.blogspot.com/
ছবিতে আপনারা যে গাছটি দেখতে পাচ্ছেন তা কোনো সাধারণ গাছ নয়।
আজ থেকে প্রায় ১৪৫৩ বছর আগের ঘটনা এটি।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত
মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বয়স যখন ১২ বছর ছিল তখন এই গাছটি তাঁকে আল্লাহ তা’আলার ইশারায় নিরাপদ আশ্রয় দান করেছিল।
আজও সেই গাছটি বেঁচে আছে।
@@@@ সুবাহানাল্লাহ@@@@ এই গাছটি “একমাত্র জীবিত
সাহাবী গাছ” হিসাবে পরিচিত!! গাছটি জর্ডানের এক মরুভূমী এলাকায় অবস্থিত।
আরেকটি অবাক করার মত
ব্যপার হল গাছটির শত বর্গ কিলোমিটার এলাকায় এটি ছাড়া আর কোনো গাছ নেই। এই গাছটির নিচে কখনো কেউ বসতে পারেনি! তখন গাছটিতে কোন পাতা ছিলনা! নবী কারিম (সাঃ) ছেলে বেলায় উনার চাচার সাথে জর্ডানে যান এবং পথ
চলতে চলতে এই গাছটির নিচে বসেন।
বসার সাথে সাথে গাছটিতে পাতা বাহির হয়।
@@@@@সুবাহানাল্লাহ@@@@@ দূরে জারজিস ওরফে বুহাইরা নামের একজন খৃষ্টান পণ্ডিত থাকতেন তিনি নবীজির চাচার কাছে এসে বললেন আমি এতদিন এখানে আছি কেউ এই গাছের নিচে বসতে পারেনি এবং এই গাছের কোন পাতা ছিল না। খৃষ্টান পন্ডিত
জিজ্ঞেস করলেনঃ- এই ছেলেটির নাম কি ? চাচা বললেন, মোহাম্মদ! আবার জিজ্ঞস করলেনঃ- বাবার নাম কি ? আব্দুল্লাহ ! মাতার নাম ? আমিনা ! বালক মুহাম্মাদ (সা) কে দেখে, তার সাথে কথা বলে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন পাদ্রীর চিনতে আর বাকী রইলো না যে এই সে বহু প্রতিক্ষীত শেষ নবী, ইতিহাসের গতি পরিবর্তকারী, আরবসহ সমগ্র পৃথিবী থেকে পৌত্তলিকতার বিনাশকারী, একত্ববাদকে শক্ত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠাকারী। সাথে সাথে খৃষ্টান পন্ডিত বললেন আমি পড়েছি ইনি হলেন ইসলাম ধর্মের শেষ নবী।(হযরত মোহাম্মাদ সাঃ).

দেখে নিন সেহরী কিভাবে খাবেন

“স্বাস্থ্যকর সেহরী” প্রথমত, প্রত্যেক কে অবশ্যই সেহরি খাওয়া উচিত। ধর্মীয় গুরত্ব থাকার পাশাপাশি সেহরির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গুরত্ব ও অসীম। সেহরি না খেয়ে রোজা রাখলে দিন শেষে বুকজ্বলার সমস্যা বাড়বে, তাছাড়া দূর্বল ও বোধ করবেন অনেক বেশী। অনেকে বলেন যে এই সময় ক্ষিদে থাকেনা, তাই সেহরী খাইনা। ক্ষুদা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করুন ইফতারে ভাত খেতে (বিশ্বাস করুন, ভাজা পোড়া খাওয়ার চাইতে ইফতারে ভাত খেলে আপনি অনেক সুস্থ্য বোধ করবেন) এবং এরপর তারাবীর পরেhttp://bd-islamiclife.blogspot.com/ হালকা খাবার খেতে। তাহলে এমনিতেই আপনার সেহরীর সময় ক্ষিদে থাকবে। মূলত, রাতে ভারী ডিনার এর কারণেই সেহরীর সময় ক্ষুধা নষ্ট হয়।
>কতটুকু খাবেন? অনেকে ভাবেন যে, সেহরীতে বেশী করে খেয়ে নেই, তাহলে সারাদিন ক্ষিদে লাগবে না। কথাটা আসলে ভূল। আপনি যতই খান না কেন, ইফতারের আগ পর্যন্ত তা পেটে থাকবে না। এই অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ আপনার পাকস্থলীর উপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবে এবং সারাদিন আপনি বদহজম, পেট ফাপা, গ্যাস এর সমস্যায় ভুগবেন। আর এই রোজার মাস শেষে দেখবেন এই অতিরিক্ত
খাদ্য আপনার পেটে চর্বি হিসেবে জমা হয়েছে।
>কখন খাবেন? সেহরীতে ফজরের নামাজের বেশ আগে উঠুন (অন্তত ১ ঘন্টা), এমন ভাবে উঠুন যেন, খাবার খেয়ে একটু হাটা চলা করার সময় পান।
এরপর ফজরের নামাজ শেষে শুতে যান।
কেননা, খেয়ে সাথে সাথে শুয়ে পড়লে সারাদিন গন্ধ ঢেকুর এর সমস্যায় পরতে পারেন।
>কি খাবেন? সেহরীতে খাবেন শস্য জাতীয় খাবার (চাল, গম, ওট, ভুট্টা জাত খাবার যেমন ভাত, খিচুরী, রুটি ইত্যাদি) সঙ্গে আমিষ (ডাল,ডিম, মাছ, মাংস) এবং প্রচুর সব্জী। সব্জী একেতো শরীরের পানির চাহিদা পূরণ কোরে তৃষ্ণা কমায় পাশাপাশি কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। মূল খাদ্য ছাড়াও খেতে পারেন দুধ, বাদাম, মধু ও ফল (যেমন খেজুর, আম, তরমুজ, কলা, আঙ্গুর), তরমুজ শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে আর আম, কলা, আঙ্গুর শক্তিতে ভরপুর। বিশেষ করে যারা দিনে বেলায় রোজা রাখা অবস্থায় প্রায়ই হাইপো হয়ে যান বা চিনি স্বল্পতায় ভুগে দূর্বল বোধ করেন, তারা আঙ্গুরের রস খেতে পারেন। এতে থাকা বিশেষ ধরণের চিনি অনেক ক্ষন রক্তে থেকে হাইপো হওয়া রোধ করে। বাদামের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো আমন্ড বা ওয়ালনাট। তাছাড়া চিনা বাদাম ও খেতে পারেন। মধু শুধু শুধু বা দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন। (ডায়বেটিস রোগীর জন্য এগুলো প্রযোজ্য নয়) >কি খাবেন না? ১) সেহরীতে কখনোই সরাসরি প্রচুর চিনি যুক্ত ডেজার্ট খাবেন না (যেমন পায়েশ, মিষ্টি ইত্যাদি), চিনি রক্তে দ্রুত পৌছে আপনার ক্ষিদে কমিয়ে দিবে, ফলে আপনি সেহরীতে কম খাবেন। আবার ক্ষুব দ্রুত এটি রক্ত থেকে সরেও যাবে। ফলে এটি রক্তে অনেকক্ষন থেকে আপনার ক্ষিদে সারাদিন কমিয়ে রাখাতে কোন ভুমিকা তো রাখবেই না, বরং দ্রুত
মেটাবলাইজড হয়ে ফ্যাট এ পরিণত হবে।
সেহরীতে সবসময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা রক্তে অনেকক্ষন থাকে যেমন কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ( ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদি)।
২) সেহরীতে চা, কফি খাওয়া উচিত না। কেননা এতে থাকা ক্যাফেইন মূত্রের পরিমাণ বাড়ায়।
ফলে শরীর থেকে পানি ও মিনারেল বের হয়ে তৃষ্ণা বেড়ে যায়। যদি চা না খেলে খুব কষ্ট হয়। তাহলে পাতলা বা কম লিকারের চা সামান্য লেবুর রস দিয়ে খান।
৩) সেহরীতে অতি লবনযুক্ত খাবার (যেমন পনির, লবনযুক্ত শুটকী, আচার, সালাদ ড্রেসিং ইত্যাদি) একদম খাবেন না। শরীরে পানির পরিমাণ শরীরে লবনের পরিমানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। শরীরে লবন বেশী থাকলে পানির চাহিদা ও তৃষ্ণা বাড়ে। সুতরাং সেহরীতে লবনযুক্ত খাবার খেলে দিনের বেলায় আপনার তৃষ্ণা বেশী পাবে।
৪) সেহরীতে অতিরিক্ত পানি খেয়ে পেট ভরে ফেলার অর্থ হয়না। বেশী পানি আপনার সারাদিনের তৃষ্ণা মেটাতে পারবে না। সব পানি একেবারে সেহরীতে না খেয়ে ইফতার থেকে সেহরী পর্যন্ত ভেঙ্গে ভেঙ্গে ৮ গ্লাস পানি খাওয়া বেশী স্বাস্থ্যকর। সেহরীতে ফল বা সব্জী খাওয়া পানির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।
>বিকল্প খাবারঃ অনেকে সেহরীতে ঘুম থেকে উঠে কিছুতেই ভাত খেতে পারেন না। যদিও সেহরীতে প্রচুর সব্জী ও ফল খেতে বলা হয়, কিন্তু শুধু এগুলো খেয়েও রোজ রাখা সম্ভব না। বিকল্প হিসেবে ভাত না খেয়ে কয়েকটি শক্তিদায়ক খাবার অল্প অল্প করে খেতে পারেন। যারা ভাত খেতে পারেন না তারা রূটি যে কোন তরকারী দিয়ে। পিনাট বাটার ও প্রচন্ড শক্তি প্রদান কারী খাবার। টোস্ট দিয়ে পিনাট বাটার খেতে পারেন (পরিমিত
পরিমানে), আমাদের দেশে শুধু আলুর রেসিপি কম থাকলেও অনেক দেশেও আলু মূল খাদ্য।
আলুর তৈরী কোন ডিশ সেহরীতে ভাতের বিকল্প হতে পারে। দেশী রেসিপির মধ্যে হালিম ও শক্তিদায়ক খাবার। এতে আছে কার্বোহাইড্রেট ও আমিষ। বাসায় তৈরী কম তেলের এক হালিমও হতে পারে আপনার সেহরী।

ইসলামে বাবার মর্যাদা ! জেনে নিন


গতকাল রোববার ১৯/০৬/১৬ ছিল বিশ্ব বাবা দিবস। ১৯৬৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববারকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাবা দিবস হিসেবে নির্ধারণ করেন। যে ব্যক্তি বাবা-মাকে পেল কিন্তু তাদের সন্তুষ্ট করতে পারলো না হাদিসের ভাষায় তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত।
আবার যারা রমজান মাস পেল কিন্তু নিজেদেরকে গোনাহমুক্ত করতে পারলো না তারও ধ্বংসপ্রাপ্ত।
সুতরাং এ রমজানে বাবা-মার খেদমত
করে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলে রোজা ও বাবা-ময়ের হক উভয়টি আদায় করা সম্ভব। কুরআন- হাদিসের দৃষ্টিতে বাবা-মায়ের মর্যাদা সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো- বাবা পরিবারের চালিকা শক্তির প্রধান। বাবা সন্তানের জন্য শ্রেষ্ঠ বন্ধুও উত্তম পথপ্রদর্শক। বাবা-মা আমাদের সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন। এ পরম সত্য কথা।
পৃথিবীতে সন্তানের সুখ, শান্তি ও নিরাপত্তার কথা শুধুমাত্র বাবা-মা-ই ভেবে থাকেন। এ জন্যই পৃথিবীর সকল ধর্মেই বাবা-মাকে সর্বাধিক সম্মান দান করেছেন।
পবিত্র কুরআনুল কারিমের ১৫ জায়গায় বাবা-মার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার পালন কর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত কর না এবং বাবা- মার সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন; তবে তাঁদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং তাদের সঙ্গে বল শিষ্টাচারপূর্ণ কথা। (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৩) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাবার মর্যাদা সম্পর্কে বলেছেন, ‘বাবার সন্তুষ্টিতে আল্লাহ তাআলা সন্তুষ্ট হন; আবার বাবার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।’ সে কারণেই ইসলাম বাবা-মার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করাকে বড় গোনাহের কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
বাবা-মার মর্যাদা কত বড় তার প্রমাণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের রয়েছে অনেক বড় একটি হাদিস রয়েছে। হাদিসটি সংক্ষিপ্ত রূপ হলো- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, ‘একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিম্বরের প্রথম ধাপে ওঠে বললেন, আমিন; দ্বিতীয় ধাপে ওঠে বললেন, আমিন; তৃতীয় ধাপে ওঠে বললেন, আমিন।
সাহাবায়ে কেরাম বিশ্বনবির আমিন বলার কারণ জানতে চাইলেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এ মাত্র জিব্রিল আলাইহিস সালাম আমাকে জানালেন, যে ব্যক্তি রমজান পেলে কিন্তু তার গোনাহ মাফ হয়নি, সে ধ্বংস হোক; আমি বললাম আমিন।
তারপর জিব্রিল বললো, সে ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যার সামনে আমার নাম উচ্চারণ করা হলো কিন্তু সে দরূদ পড়লো না, আমি বললাম আমিন। তারপর জিব্রিল বললো, ‘সে ধ্বংস হোক, যে বাবা-মা উভয়কে পেল অথবা একজনকে পেল কিন্তু তারা তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করালো না। আমি বললাম আমিন।
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসগণ বললেন, ‘বার্ধক্যে পিতা-মাতা দুর্বল হয়ে পড়ে; রোগে-শোকে অসহায় হয়ে পড়ে, সে অবস্থায় যে সন্তান পিতা-মাতর খেদমত তথা সেবা-যত্ন না করে তাদের জন্য এ ধ্বংস। যে ব্যাপারে বিশ্বনবি আমিন বলেছেন।
অথচ বিশ্বনবি ছিলেন উম্মতের জন্য রহমদিল। সব সময় উম্মতের জন্য আল্লাহর নিকট কল্যাণের আবেদন করতেন। অথচ পিতা-মাতার অবমূল্যয়ন করায় বিশ্বনবির তাদের ধ্বংসের ব্যাপারে আমিন বলেছেন।(নাউজুবিল্লাহ) পরিশেষে… বাবা দিবসের সন্তানের জন্য বাবা- মার প্রতি যথাযথ দায়িত্ব পালন হোক আমাদের অঙ্গীকার। বিশ্বনবির ছোট্ট একটি হাদিস দ্বারা শেষ করতে চাই- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন কোনো সন্তান বাবা-মার প্রতি অনুগ্রহের দৃষ্টিতে তাকান; আল্লাহ তাআলা তার প্রতিটি দৃষ্টি বিনিময়ে সন্তানের আমলনামায় আল্লাহ তাআলা একটি কবুল হজের সাওয়াব লিপিবদ্ধ করেন।
এমনকি সাহাবায়েকেরামের প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বনবি বলেন, কেউ যদি একশত
বার তাকায়, তার বিনিময়ে একশত কবুল হজের সাওয়াব তার আমলনামায় যোগ হবে। (সুবহানাল্লাহ) সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ রমজান মাসে বাবা- মায়ের খেদমত করার পাশাপাশি তাঁদের প্রতি অনুগ্রহের দৃষ্টি তাকিয়ে কবুল হজের সাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। এবং মৃত বাবা- মায়ের জন্য দোয়া করার তাওফিক
দান করুন। আমিন।

পরকালের বিপদ- আপদ থেকে মুক্তির দোয়া

আজ ১৪ রমজান। মাগফিরাতের দশকে চতুর্থ দিন। এ দশকে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদেরকে গোনাহ থেকে ক্ষমা করবেন। বান্দাহ তাঁর মর্যাদার ওসিলায় বিপদ-আপদ থেকে হিফাজত
থাকতে একটি দোয়া তুলে ধরা হলো- .

.
.
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লা তুআখিজনি ফিহি বিলআ’ছারাতে; ওয়া আক্বিলনি ফিহি মিনাল খাত্বায়্যা ওয়া হাফাওয়াত; ওয়া লা তাঝআ’লনি ফিহি গারাদান লিলবালায়া ওয়াল আফাত; বিই’যযাতিকা ইয়া ই’যযাল মুসলিমিন।
.
.
.
অর্থ : হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে আমার ভ্রান্তির জন্যে জিজ্ঞাসাবাদ করো না। আমার দোষ- ত্রুটিকে হিসেবের মধ্যে ধরো না।
তোমার মর্যাদার ওসিলায় আমাকে বিপদ-আপদ ও দুর্যোগের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত করো না। হে মুসলমানদের মর্যাদা দানকারী।
.
.
.
পরিশেষে… আল্লাহ তাআলা মাগফিরাতের দশকে মুমিন বান্দাকে দুনিয়ার সকল ভ্রান্তি থেকে হিফাজত করুন। পরকালের সকল আপদ-বিপদ থেকে হিফাজত থাকতে আল্লাহ তাআলার ক্ষমা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Popular Posts

Recent Posts

Unordered List

Text Widget

Powered by Blogger.